মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ সেতুটি নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ জেলার কোটি মানুষের উন্নয়ন হবে। সেসঙ্গে ঘুচবে দীর্ঘদিনের দক্ষিণ জনপদের অবহেলিত বঞ্চনার অর্থনৈতিক চিত্র। পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বেকুটিয়া সেতু নিয়ে এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রীর আর্থিক সহায়তার বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের সেতুটির ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে সেতুতে চলবে যানবাহন।
ওই রুটের ভুক্তভোগী বেশকিছু যাত্রী বলেন, ফেরি ও ট্রলারে প্রতিনিয়তই আমাদের পারাপারে সমস্যা। তাই বেকুটিয়া সেতুটির নির্মাণ কাজ যত তাড়াতাড়ি করা যায়, সে বিষয়ে সরকার যেন সচেতন থাকে।
হোটেল মালিক আমিনুল ইসলাম ও চা বিক্রেতা শিমুল বলেন, সেতুটি নির্মাণ হলে দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ জেলার কোটি মানুষের উন্নয়ন হবে। ব্যবসা বাণিজ্য ও শিক্ষ
আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আজমীর মাঝি জানান, দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের বেকুটিয়া সেতু নির্মাণের ফলে পিরোজপুরে তৈরি হবে অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেসঙ্গে ঘুচবে দীর্ঘদিনের দক্ষিণ জনপদের অবহেলিত বঞ্চনার অর্থনৈতিক চিত্র।
এদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, বেকুটিয়া সেতু নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। করোনা ভাইরাসের কারণে বেঁধে দেয়া সময় থেকে এক বছর বেশি সময় লাগতে পারে এ সেতু নির্মাণে।
চায়নার রেইলওয়ে ১৭টিএইচ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তথ্যমতে, পিসি বক্স গার্ডার সেতুতে মোট ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিয়ার বসানো হচ্ছে।
পিরোজপুরের সদর উপজেলা এবং কাউখালী উপজেলার রাজাপুর-নৈকাঠি-বেকুটিয়া-পিরোজপুর সড়কের ১২তম কিলোমিটারে এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার ও দুই লেনের সেতুর প্রস্থ ১৩ দশমিক ৪০ মিটার ধরা হয়েছে। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৫৪ কোটি টাকা।
Leave a Reply